ঢাকা , শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ , ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ঢাকাসহ চার বিভাগ ও দুই অঞ্চলে বৃষ্টির আভাস রংপুরে সাতসকালে সড়কে ঝরলো ৫ প্রাণ সামরিক প্রধান দেইফের নিহতের খবর স্বীকার হামাসের যুক্তরাষ্ট্রে বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার সৌদি যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে দুবাই হাসপাতালে বাবর আলু-পেঁয়াজে স্বস্তি মিললেও সুখবর নেই তেল-চালে নওগাঁয় বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির নারী সাংবাদিক প্রবেশে বাধার অভিযোগ, যা বলল ধর্ম মন্ত্রণালয় ইজতেমা ময়দানে ৭২ দেশের ২১৫০ মুসল্লি বাণিজ্য মেলার পর্দা নামছে আজ ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রস্তাব ‘রসিকতা নয়’: মার্কো রুবিও ছাত্ররা রাজনৈতিক দল গঠন করবে: ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে ড. ইউনূস বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে মার্কিন ব্যবসায়ী গোষ্ঠী মার্কিন বিমান দুর্ঘটনায় ওবামা ও বাইডেনের ‘ডাইভার্সিটি পলিসি’কে দুষলেন ট্রাম্প টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু আজ মেয়েদের ফুটবল ম্যাচে বাধা, অন্তর্বর্তী সরকারের নিন্দা চট্টগ্রামের মাহফিলে আসুন, দেখা হবে, কথা হবে: আজহারী ছুটিতে পাঠানো বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন পদত্যাগ করেছেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকের ২৬ মাসের কারাদণ্ড বাদ মাগরিব আম বয়ানে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা

আলু-পেঁয়াজে স্বস্তি মিললেও সুখবর নেই তেল-চালে

  • আপলোড সময় : ৩১-০১-২০২৫ ১০:৫৭:৩১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩১-০১-২০২৫ ১০:৫৭:৩১ পূর্বাহ্ন
আলু-পেঁয়াজে স্বস্তি মিললেও সুখবর নেই তেল-চালে
সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে শাক-সবজি, আলু ও পেঁয়াজের দাম। তবে ঘাটতির অজুহাতে আরও অস্থির হয়ে উঠেছে চাল ও তেলের বাজার।শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জের আগানগর ও জিনজিরা এবং রাজধানীর কারওয়ানবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজারঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।মাঘের মাঝামাঝি সময়ে এসে রাজধানীর বাজারগুলোতে আরও বাড়ছে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ। দোকানিরাও এর পসরা সাজিয়ে বসছেন। এতে হাতে গোনা কয়েকটি সবজির দাম ওঠানামা করলেও কমেছে বেশিরভাগের দাম।বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৪০-৫০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, মুলা ১৫-২০ টাকা, লতি ৫০ টাকা ও পটোল ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, শিম ২০ টাকা, শালগম ২০ টাকা, মটরশুঁটি ১০০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ২০-৩০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ২০-২৫ টাকা, পাতাসহ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ২০-২৫ টাকা, বাঁধাকপি ২৫-৩০ টাকা, ব্রকলি ৩০-৪০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা।কমেছে কাঁচা মরিচের দামও। খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, আর পাইকারিতে ৩০-৪০ টাকা। এছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পুঁইশাক ২০-২৫ টাকা, লাউশাক ৩০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা, মেথি শাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।সবজির দামের নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে আলু ও পেঁয়াজের বাজারেও। বর্তমানে প্রতিকেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। পাইকারি পর্যায়ে যা কেজিপ্রতি ১৮-২০ টাকা ও আড়তে বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকায়।

খুচরা ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা বলছেন, নতুন আলুর সরবরাহ বাড়ায় দাম ভোক্তার একদম হাতের নাগালে চলে এসেছে। আড়ত পর্যায়ে দাম নেমেছে ১৬ টাকায়। গত মাসেও যা ছিল নাগালের বাইরে। মূলত সরবরাহ বাড়ায় দাম পড়ে গেছে।আর কেজিতে ৫ টাকা কমে খুচরায় প্রতি কেজি পুরান দেশি পেঁয়াজ ৮৫-১০০ টাকা, নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়। আর পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৪০-৪৪ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।সবজি, আলু ও পেঁয়াজের দাম কমায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। তারা বলেন, আমদানি বাড়ালে ও নিয়মিত বাজার মনিটরিং করলে দাম কমবে। এতে স্বস্তি পাবে সাধারণ ভোক্তারা।

তবে অস্থিরতা কমেনি চালের বাজারে। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৮০ টাকা, আটাইশ ৫৮-৬০ টাকা, মোটা স্বর্ণা ৫২-৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১১৬-১১৮ টাকায়।রাজধানীর কারওয়ানবাজারের বরিশাল রাইচ এজেন্সির বিক্রেতা আল হাসিব বলেন,চালের দাম কমার বদলে উল্টো বেড়ে যাচ্ছে। মিল পর্যায়ে তদারকি না বাড়ালে সামনে দাম আরও বাড়বে।একই অবস্থা তেলের বাজারেও। দাম বাড়ানোর এক মাস পরও বাজারে কৃত্রিম সংকট কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের। ভোক্তাদের অভিযোগ, বোতলজাত পাঁচ লিটারের তেল কিছুটা পাওয়া গেলেও এক ও দুই লিটারের বোতলজাত তেল পাওয়া যাচ্ছে না পর্যাপ্ত পরিমাণে। হাতে গোনা দু-একটি দোকানে পাওয়া গেলেও তা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।আর বোতলজাত সয়াবিন তেলের চেয়েও বেশি দামে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হতে দেখা গেছে। খোলা সয়াবিন তেল কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায়। তবুও মিলছে পর্যাপ্ত পরিমাণে।

তেলের বাজারের এই অস্থিরতার কথা স্বীকার করে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত তেল সরবরাহ করছে না কোম্পানিগুলো। আবার তেল কিনতে গেলে সঙ্গে অন্য পণ্য কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। এতে কিছুটা সরবরাহ সংকট তৈরি হয়েছে।  এদিকে সয়াবিন তেলের দাম আবারও বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। গত ৯ ডিসেম্বর লিটারে আট টাকা বাড়ানোর পর সম্প্রতি আবারও দাম বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান।আর বিক্রেতারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।
 

কমেন্ট বক্স